ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের পরিবর্তন এবং অস্থিরতা নতুন কিছু নয়! বর্তমানে, GBP/USD পেয়ারের মূল্য সাম্প্রতিক উত্থানের পরে স্বল্পমেয়াদী দরপতনের সম্মুখীন হচ্ছে। UBS-এর বিশ্লেষকদের মতে, বছরের শেষের দিকে সম্ভাব্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার আগে সাময়িকভাবে এই কারেন্সি পেয়ারের দরপতন হতে পারে।

ব্যাংকটির মুদ্রা কৌশলবিদরা ২০২৫ সালের প্রথমার্ধের অস্থিরতার পর ব্রিটিশ বন্ড মার্কেটে স্থিতিশীলতার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। বিশ্লেষকদের মতে, মার্কেটের বর্তমান শান্ত অবস্থা নতুন ঝুঁকির দিকে মনোযোগ স্থানান্তর করেছে, বিশেষ করে মার্কিন শুল্ক আরোপের বিষয়ে। তারা মনে করেন, এটি বৈশ্বিক পরিস্থিতি এবং পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্যের গতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে, যেহেতু এটি একটি চক্রাকার প্রকৃতির মুদ্রা।

চলমান উদ্বেগ সত্ত্বেও, ইউরোপীয় মুদ্রার দর বাড়ছে, যা সাম্প্রতিক আঞ্চলিক রাজস্ব ব্যয়ের খবর দ্বারা সমর্থিত হয়েছে। এটি পাউন্ডকে শক্তিশালী করেছে এবং মূল্যকে $1.3000 এর গুরুত্বপূর্ণ লেভেলে পৌঁছাতে সহায়তা করেছে। এই লেভেলটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রেজিস্ট্যান্স এরিয়া হিসেবে কাজ করছে, যেখানে $1.2500 একটি গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট জোন হিসেবে রয়ে গেছে।

ইউবিএসের বিশ্লেষকরা স্বীকার করেছেন যে এই পেয়ারের মূল্য $1.3000 এর রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করতে পারে। তবে, স্বল্পমেয়াদে GBP/USD পেয়ারের আবারও দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষত এপ্রিলের শুরুতে কার্যকর হতে চলা নতুন মার্কিন শুল্কের কারণে। ব্যাংকটির পূর্বাভাস অনুসারে, এই পেয়ারের দর প্রথমে $1.2600-এ নেমে যেতে পারে, তারপর ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ $1.3100-এ পৌঁছানোর জন্য পুনরুদ্ধার করতে পারে।

ব্যাংকটির বিশ্লেষকরা পূর্বাভাস দিয়েছে যে বছরের প্রথমার্ধে পাউন্ড দুর্বল হবে, তবে দ্বিতীয়ার্ধে পুনরুদ্ধার হবে। তাদের মতে, ২০২৬ সালের মার্চ মাসের পূর্বাভাস অনুসারে, GBP/USD পেয়ারের দর ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ $1.3100 পৌঁছাতে পারে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন যে আসন্ন পতনকে ডলার এক্সপোজার কমানোর সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করা উচিত এবং সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধির জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত।